পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহারেও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও সুন্নাহসম্মত রীতিনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে
আজকাল মুসলমান নারী পুরুষ সকলের মধ্যেই পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহারে এত বেশী কাফির মুশরিক ইহুদী নাসারা তথা বিধর্মী বিজাতীদের অনুসরন অনুকরন করা হচ্ছে যার ফলে একজন মুসলমানকে দেখে বুঝাই সম্ভব নয় সে আদৌ মুসলমান কি-না। অথচ, মুসলিম উম্মাহ এমন এক জাতি উনাদেরকে দেখার সাথে সাথেই বুঝার দরকার ছিলো- উনারা মুসলমান। যা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং উনাদের অনুসারী সালফে সালেহীন আউলিয়া আজমাঈন উনাদেরকেই কেবল বুঝা যেতো উনারা হলেন মুমিন মুসলমান। সুবহানাল্লাহ! এই কারনে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্নিত হয়েছে নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কৃষ্টি কালচারের অনুসরন অনুকরন করবে, সে তাদেরই অর্ন্তভুক্ত বলে গন্য হবে এবং যে ব্যাক্তি যে সম্প্রদায়কে মুহব্বত করবে, তাদের সাথেই তার হাশর নশর হবে। (সুনানে আবু দাউদ শরীফ) এই পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সহজেই বুঝা যায়, কারো অন্তরে ধ্যান ধারনায় যদি বিধর্মী বিজাতীদের মুহব্বত প্রবেশ না করে সে কখনোই তাদের পোষাক-আশাকে সজ্জিত হতে পারে না। অথচ, এক্ষেত্রেও কঠোরভাবে কাফির মুশরিক বিধর্মী বিজাতীদের বিপরীতে আমল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- তোমরা পথ-পন্থা, রীতি নীতি, চাল-চলন, ও লেবাস-পোশাকেও পৌত্তলিক তথা মুশরিকদের প্রতিকূলে চলো; তাদের অনূকূলে নয়। (বুখারী শরীফ) অর্থাৎ কাফির মুশরিক বিধর্মী বিজাতীদের সবকিছুতেই সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে ওদের বিপরীত করতে হবে। আফসুস, আজ মুসলমান উনারা উনাদের মাত্র সাড়ে তিন হাত শরীরকেও সেই সব কাফির মুশরিক বিজাতীদের লেবাস দ্বারা আবৃত করে দিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে কাফির মুশরিকদের অনুসরন অনুকরন হতে হিফাজত থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন